অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির আর নেই

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ৭১ এর বীর সেনানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, দুইবারের পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির মারা গেছেন। রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের পাইকপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন হুমাযূন কবির। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হুমায়ুন কবীর স্ত্রী মেয়র নায়ার কবীর, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

হুমায়ুন কবীর ১৯৫২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম বজলুর রহমান ও মায়ের নাম উকিলুন্নেচ্ছা। হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজে অবদান রাখেন।

হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ অসুস্থ থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানে সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

হুমায়ূন কবির এর নামাজে জানাজা আগামীকাল ( ২৮ অক্টোবর) সোমবার বাদ জোহর কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।তাকে শহরের পৈরতলা এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।