আমরা জনগনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

প্রকাশিত: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ‘আমাদের জনপ্রিয়তা থাকলে জিতব, না থাকলে হেরে যাব, কোনো অসুবিধা নেই। আমরা রাজনীতি করি, রাজনীতিটা আমাদের ব্যবসা না। রাজনীতিটা হলো আমাদের আদর্শিক লড়াই; যেখানে হারও আছে, জিতও আছে। সুতরাং আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা হারার জন্যও প্রস্তুত, জেতার জন্য তো আমরা চেষ্টাই করি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আজ শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কখনো হারতে চায় না, কারণ হারলে তাদের টাকা-পয়সার ক্ষতি হয়। তবে আমাদের তেমন ক্ষতি হয় না। কারণ আমরা রাজনীতি করি, আমরা কোনো প্রকার ব্যবসা করি না। আমরা জনগনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য কাজ করি।

বিগত জাতীয় নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের ইঙ্গিত করে আওয়মী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এবারের সম্মেলন ইঁদুর মারার সম্মেলন, আমরা দলের ভিতর কোনো ইঁদুর রাখব না। যারা ঘরে খেয়ে ঘরের বেড়া কাঁটবে; এই ধরনের ইঁন্দুরদের (ইঁদুর) আমরা কোনো কমিটিতে রাখব না।’

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, একটা জিনিস মনে রাখবেন, হার-জিতের সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক হলো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। আপনি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডটা করেন কিনা, নাকি দলের ভিতরে থেকে ইঁদুর হয়ে কাজ করেন এটিই মূখ্য বিষয়। আপনাকে সংগঠন করতে হলে সংগঠনের প্রতি শতভাগ অনুগত থাকতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, সারাদেশে ক্যাসিনো, দুর্নীতি, মাদক, জুয়া ও ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি লড়াই চলছে। আমরা তার এই লড়াইয়ের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এই শহরের কোথাও যদি জুয়া খেলা হয়, আমি পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব আপনারা এই জুয়া খেলার আড্ডাগুলো ভেঙে দিন। নতুবা জনগণ যদি নিজেদের হাতে আইন তুলে নেন তাহলে নিশ্চয় এটি আপনাদের জন্য বেশি সুখকর হবে না।

তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যেসকল স্থানে জুয়ার আসর বসে সেসব স্থানে যদি অভিযান চালানো না হয়- তাহলে জনতা যদি নিজের হাতে আইন তুলে নেন তাহলে আপনাদের আফসোস করা ছাড়া কিছুই থাকবে না।

তিনি বলেন, ভূমিদস্যুদের আমরা বিন্দুমাত্র সহ্য করব না। রেলওয়ের জমি হোক, গণপূর্তের জমি হোক অথবা সড়ক ও জনপদের খাস জমি হোক কোনো জায়গায় আমরা ভূমিদস্যুদের সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতেও করব না।

সম্মেলন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মুসলিম মিয়াকে পুনরায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মোঃ রফিকুল ইসলামকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।