দণ্ডপ্রাপ্ত তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

শনিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দণ্ডিত আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির বিধান করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গোটা দেশবাসীর পক্ষ থেকে ওই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে অনুরোধ করব, ব্রিটিশ সরকার বা মার্কিন সরকার আপনারা কথায় কথায় মানবতার কথা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন। আজ একজন কুখ্যাত অপরাধী, যিনি হত্যাকারী হিসেবে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত তাকে শেল্টার দিয়ে, তার বিচারের রায় কার্যকর করতে আপনারা সহায়তা না করে কোন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করছেন সেটাই আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন।

তিনি বলেন, আপনারা মানবাধিকারের কথাই তো বলেন, সত্যিকারের মানবাধিকার যদি চান তাহলে এই সব দণ্ডপ্রাপ্ত, কুখ্যাত আসামিদের অবিলম্বে আমাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে, আইনের শাসনের মাধ্যমে আমরা এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে পারব।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অফিস থেকে আজ সংবাদ সম্মেলন করেন, নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেন। আপনাদের মধ্যে বিবেকে বাধে নাই? বেগম খালেদা জিয়া নাটক করার জন্য সিএমএইচে গিয়েছিলেন। উনি দেখতে গেলেন আইভী রহমানকে, মৃত্যুর পথযাত্রী। খালেদা জিয়া আসবেন এই কারণে তার ছেলে এবং মেয়েকে পাশের একটা রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হলো প্রায় দুই ঘণ্টা। এত নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ, এটা আল্লাহপাক সহ্য করেননি।

তিনি বলেন, সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত আজ বেগম খালেদা জিয়ার করতে হচ্ছে। ভেবেছিলেন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে বা এই সব অপরাধ করে কোনো দিন আপনার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে না। আল্লাহর বিচার আছে। অপরাধ করলে যে তার শাস্তি হয়, বিচার হয় আজ দেখুন।

হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে, ইন্ধন নিয়ে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আপনার সন্তানকে দিয়ে হামলা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে আপনারা আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। সেই স্বপ্ন আপনাদের পূরণ হয়নি।

তিনি বলেন, আজ আপনারাই নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। আপনি আছেন কারাগারে, আপনার সন্তান আছে পলাতক হিসেবে দেশের বাইরে। এখনও ওখানে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন।

বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাজি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, নির্বাহী সদস্য আনিস আহম্মেদ প্রমুখ।