একটি স্থায়ী ঠিকানা। একজন মানুষের পরম আরাধ্য।

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২২

একটি স্থায়ী ঠিকানা। একজন মানুষের পরম আরাধ্য।

একটি স্থায়ী ঠিকানার জন্য, এক টুকরো জমি নিজের নামে পাওয়ার জন্য সেই আদিম যুগ থেকে কতই না যুদ্ধ, বিদ্রোহ, কলহ হয়েছে এই জগতে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অনেক উপরের স্থানে থাকলেও পৃথিবীর সকল উন্নত দেশের শতভাগ মানুষ গৃহে বাস করে না। দিনশেষে কারো জায়গা হয় ফুটপাতে, কারো রেল বা বাস স্টেশনে। কারো বা আবার বস্তিতে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের সকল আপাময় জনসাধারণকে। কথা দিয়েছিলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন বেশ কষ্টসাধ্য এবং দীর্ঘ ক্লান্ত পথচলা ছিলো এর একমাত্র সাথী। অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়া শুরু করেছে। আজ সেই ঐতিহাসিক দিন। বাঙালির অসম্ভব সাধনের মুকুটে আরো একটি পালক যুক্ত হবার দিন। আজ ২১ শে জুলাই ২০২২ স্মৃতির পাতায় লেখা থাকবে সোনালী অক্ষরে। বাংলাদেশের দুইটি জেলা (পঞ্চগড় ও মাগুরা) সহ ৫২ টি উপজেলা আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম, প্রজ্ঞা, প্রত্যয়ী মনোভাব এবং সকল জনপ্রতিনিধিদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও সহযোগিতায় এই স্বপ্ন আজ আলোর মুখ দেখেছে। স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছে লাখ লাখ মানুষ। আনন্দের বন্যা বইছে তাদের পরিবারে। কতটা আনন্দদায়ক এই পথ পরিক্রমা তা বুঝতে হলে গণভবন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আজকের অনুষ্ঠান চলাকালীন অভিব্যক্তি দেখতে হবে আপনাকে। উপলব্ধি করতে হবে হৃদয় দিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চোখের চিকচিক আনন্দাশ্রু আপনাকে বুঝিয়ে দিবে এই স্বপ্নের বাস্তবিক প্রতিফলনে তিনি কতোটা উচ্ছ্বসিত। কতোটা উদ্বেলিত।

বিজয়নগর উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মোট ৫১৮ টি ঘরের সকল কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কিছু ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ৪০০ টির উপরে ঘরে বসবাস করছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা। এদের প্রতিটি পরিবারের গল্প আপনাকে আবেগে আপ্লুত করবে। রাস্তায় বা ঝুপড়িতে থাকা পরিবারটা এখন ২ শতক জায়গাসহ একটি সেমি পাকা ঘরের গর্বিত মালিক। সারা পৃথিবীর কোথাও এতো বৃহৎ মানবিক উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এরকম একটি সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিরল একটি ইতিহাস রচিত হলো। যার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয়নগরের ৫১৮ টি পরিবারের পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে প্রায় দুই লাখ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার হাত ধরেই এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের অগ্রযাত্রায়।