বিজয়নগর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে বস্ত্রহীন করার থানায় মামলা

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে বস্ত্রহীন করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই শিক্ষার্থী নিজেই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের জসিম মিয়া (৩৫), একই ইউনিয়নের ফারুক মিয়া (৩০) ও জিসান মিয়া (২২)।

ওই ছাত্রী জেলার আখাউড়া উপজেলার একটি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের জসিম মিয়া নামের এক যুবকের স্ত্রী মিতু বেগমের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ছোট ভাই জয় মিয়া (১৯) মুঠোফোনে কথা বলতো। প্রায় ১৫ দিন আগে এর জেরে জসিম নিজের খামার ও বাড়িতে নিয়ে ওই পরীক্ষার্থীর ভাই জয়কে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় সাহেব সর্দারজন বিষয়টি আপোস-মীমাংসা করে দেন।

এ ঘটনার পর থেকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই অশ্লীল শব্দে মন্তব্য করতেন জসিম। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হলে ফারুক ও জিসান নামে দুজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন জসিম। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর পরনে থাকা বোরকা টেনে ছিড়ে এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করা হয়।

পরে তাকে উদ্ধার করেন তার এক ভাই। তখন স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে জসিমসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে অবহিত করেন। এরপর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থী। রাতে সাড়ে ১১টার দিকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘কলেজে আমার নির্বাচনী পরীক্ষা চলছে। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর জসিম আমাকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে। আমি তো কোনও অপরাধ করিনি। কেন আমার সঙ্গে এমন করল!’

তার অভিযোগ সকালেই থানায় লিখিত দেওয়া হলেও পুলিশ দিনভর টালবাহানা করে রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। করবে কি-না কে জানে!

সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী ও তার স্বজনরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মির্জা মো. হাসান বলেন, মমলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।