আজ বিপ্লবী নির্মলকুমার সেনের প্রয়ান দিবস

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২২

নির্মলকুমার সেন
জন্ম:- ১৮৯৮ – মৃত্যু:- ১৩ জুন ১৯৩২

             নির্মলকুমার সেন ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন, চট্টগ্রামের কোয়েপাড়া গ্রাম ছিল নির্মলকুমার সেনের জন্মস্থান। তার পিতার নাম ছিল রসিকচন্দ্র সেন। নির্মলকুমার সেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম বিপ্লবী। পূর্ববাংলায় জন্ম নেয় এই বাঙালি বিপ্লবী, তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, এবং জীবন বিসর্জন করেন।

             নির্মলকুমার সেন ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে ডাক্তারি পড়ার জন্য তিনি চট্টগ্রাম এন. এম. স্কুলে ভর্তি হন। ধীরে ধীরে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চট্টগ্রামের গুপ্ত বিপ্লবী দলে যোগদান করেন। নির্মলকুমার সেন অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১৯২০ সালে ব্রহ্মদেশে পৌঁছায়।

             নির্মলকুমার সেন গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলন-এ যোগদান করেছিলেন। ১৯২৪ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্মলকুমার সেন বন্দি করা হয় ও বিনা বিচারে ৪ বছরের কারাবাসে থাকেন । বিপ্লবী কাজে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে ও অর্থ সংগ্রহ করেন।

             নির্মলকুমার সেন ৪ বছর বন্দি থাকায় পর ১৯২৮ সালে নভেম্বর মাসে মুক্তি পান। মুক্তির পর আবারও বিপ্লবী কর্মকান্ডে মাষ্টারদার দলে  অংশ নেন। ১৯৩০ সালে ১৮ ই এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ঠিক ৪ দিন পর জালালাবাদ পাহাড়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন যুদ্ধে করার পর গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান।

             দিনটা ছিল ১৯৩২ সালের ১৩ই জুন মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা, অপূর্ব সেন ও নির্মলকুমার সেন সাবিত্রী চক্রবর্তীর বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকেন। পুলিস খবর পেয়ে বিপ্লবীদের ধরার জন্য সাবিত্রী চক্রবর্তীর বাড়ি ঘেরাও করেন। সৈন্যদের সাথে বিপ্লবীদের যুদ্ধ শুরু হয়, দুপক্ষ থেকেই গুলির বিনিময়ে গুলি ছুরছেন এই যুদ্ধ "ধলঘাটের যুদ্ধ" নামে পরিচিত। বিপ্লবী অপূর্ব সেনের গুলিতে ব্রিটিশ অফিসার ক্যাপ্টেন ক্যামেরুন নিহত হন। মাস্টারদা সূর্য সেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে নির্মল সেন ও অপূর্ব সেন শহীদ হন।

(তথ্যসূত্র সংগৃহীত)

(#বিস্মৃতবিপ্লবী :: প্রকাশ রায়)