বিজয়নগর সদরে নৌকা পরাজয়ে মৃণাল চৌধুরীর লিটনের পর্যালোচনা

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২২

। মৃনাল চৌধুরী লিটন ।।

বিজয়নগর উপজেলার গত ২৬ শে ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে নির্বাচনে উপজেলার চান্দুরা হরষপুর পাহাড়পুর সিঙ্গারবিল চরইসলামপুর ইউনিয়নে নৌকা মার্কা সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে আর চার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন একটিতে উপজেলা আহলে সুন্নাতুল জামাতের সভাপতি কাজী সৈয়দুল ইসলাম জয় যুক্ত হয়েছেন উক্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থান এর মূল্যায়নের সময় এসেছে কারণ বিজয়নগর উপজেলার স্থপতি বিজয়নগর উপজেলার উন্নয়নের ধারক-বাহক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি হওয়ার পূর্বে এবং এমপি হওয়ার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার কারণে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটেছে তাই বলতে হচ্ছে বিজয়নগরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কারণ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করার কারণে আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান থাকা অবস্থায় ৫ ইউপি নির্বাচনে পরাজয়ের কারণসমূহ তুলে আনার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস নিন্মে আলোকপাত করছি ইছাপুরা ইউনিয়ন যেখানে বিজয়নগর উপজেলার প্রশাসনের সদর দপ্তরের অবস্থান এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অবস্থান ছিল তৃতীয় স্থানে পরাজয়ের কারণসমূহ মধ্যে যে বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দীর্ঘদিন যাবত ইছাপুরা ইউনিয়নে দুটি ধারায় বিভক্ত একটি ধারা সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে তিনিও দুই মেয়াদে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন অপরদিকে বর্তমান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ইছাপুরা ইউনিয়নে দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান ছিলেন গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয় যুক্ত হয়েছিলেন তখন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বহিষ্কার আদেশ দুই বছর যেতে না যেতেই তাকে বিজয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক নির্বাচিত করা হয় হয় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয় ফলে আওয়ামী লীগ, ফলে ইছাপুরা ইউনিয়নে ইউনিয়নে দলীয় শৃঙ্খলার ভয় না থাকায় দলের কর্মীরা শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না ফলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েন যে কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলা ও আদর্শিক ভাবে নেতা কর্মী তৈরি হয় নি যারাই নেতা কর্মী তৈরি হয়েছে দুই জন্য ব্যাক্তিকে কেন্দ্র করেই আর এ-ই দুই বলয়ের নেতা কর্মীদের নিকট ব্যাক্তিই তাদের নিকট বড় সংগঠন নয়। আরেকটি কারণ হলো বিগত দিনগুলিতে সংগঠন এর কমিটি গুলি হয়েছে দুটি ধারায় ফলে সংগঠনএর নিজস্ব ভিত্তি তৈরি হয়ে নি আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ কমিটিগুলি ও দুইটি বলয়ের মাঝেই ছিল । দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রলীগের কোন কমিটির নেই সংগঠনের অন্যান্য কমিটি গুলির কাগজে পত্রে থাকলেও কর্মকাণ্ড নেই যে দুটি বিরাজমান ধারা সেই দুজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হত যে কারণে সংগঠন কোন নিজস্ব কোন ভিত্তি গড়ে উঠেনি

আরেকটি কারণ হলো ইছাপুরা ইউনিয়ন যে দুটি ধারা চলমান তাদেরকে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভুইয়া জিয়াউল হক বকুল কে এবং সাধারন সম্পাদক এড তানভীর ভুইয়া হাজী আক্তার হোসেনকে সমর্থিত বলে ইউনিয়ন এর মানুষ মনে করেন
এবার ইছাপুরা ইউনিয়ন নির্বাচনে নতুন মুখ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী নুরুল আমীনকে মনোনয়ন দেন আওয়ামীলীগ সংগঠন দীর্ঘদিন দুটি বলয়ে থাকার কারনে নুরুল আমীন নির্বাচনে কোন অবস্থান তৈরি করতে পারেন নি৷ নির্বাচনে শুধু মাএ বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মৃণাল চৌধুরী লিটন ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসয়াক সরকার ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর কবীর ছাড়া দলের অন্য নেতারা দলীয় প্রার্থীর জন্য মাঠে নামে নি৷ এমন কি উপজেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দলীয় প্রার্থীর জন্য দায়িত্ব নিয়ে কোন ভূমিকা পালন করেন নি
পরাজয় এর আর একটি কারন হল দলীয় প্রার্থী নুরুল আমীন একটা সময় হাজী আক্তার হোসেনের বলয়ে ছিল
কিন্তু ২বছর পূর্বে এ-ই বলয় থেকে বেড়িয়ে যান এবং তিনি আলাদা বলয় সৃস্টি করার চেস্টা করেন কিন্তু আলাদা বলয় সৃস্টি করতে পারেন নি । নির্বাচনে তার প্রধান শক্তি ছিল তার বংসের লোকজন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি এদের ধরে রাখতে পারেন নি
তাই এ-ই কারন গুলি পর্যলোচনাা করে বলা যায় দলকে শক্তিশালী করতে হলে আদর্শ্য ভিত্বিক কর্মী তৈরি করা প্রয়োজন আদর্শ্য ভিত্বিক কর্মী তৈরি হলেই ভাইলীগ থেকে আওয়ামীলীগের ভিত্তি মজবুত করা সম্ভব