দুই বছরের সাজা থেকে বাঁচতে পলাতক ২৮বছর, অবশেষে ধরা বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২১ আদালতের দেওয়া দুই বছরের সাজা থেকে বাঁচতে ২৮ বছর যাবত পলাতক ছিলেন মাহামুদুল হাসান ওরফে মঞ্জু নামের এক আসামী। শেষ পর্যন্ত নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের সৈয়দের খোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার মো. তৌহিদুল মবিন খান। গ্রেপ্তার মাহামুদুল হাসান ওরফে মঞ্জু (৫৩) একই এলাকার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। র্যাব-১১ জানায়, ২৮ বছর আগে মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। ওই মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় মাহামুদুল হাসানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মাহামুদুল হাসান ২৮ বছর আগে একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানায় ডাকাতির অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় ১৯৯২ সালে পলাতক অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়। পরোয়ানা জারির পর তিনি কৌশলে দেশের বাইরে চলে যান। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর তিনি সৌদি আরব, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে থাকেন। ২০০৩ সালে তিনি দেশে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে আবারও বিদেশে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিনের অপেক্ষমাণ সাজা ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করার সময় মাহামুদুল হাসান সম্পর্কে জানতে পারে র্যাব-১১। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতে থাকে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের সৈয়দের খোলা এলাকায় নিজ বাড়িতে এসেছেন তিনি। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ছয় মাস আগে মাহামুদুল হাসান আবার দেশে ফিরেছেন। রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার মাহামুদুল হাসানকে শিবপুর থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার হাতে তুলে দেবে। Related posts:সাবেক মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আর নেইবিজয়নগরে বাল্যবিবাহের অপরাধে কণের বাবাকে জরিমানাবিজয়নগরে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মেধা-যাচাই পরীক্ষা-২০১৯ অনুষ্ঠিত Post Views: ১৪৯ SHARES আইন-আদালত বিষয়: