ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও শুরু হয়েছে মোটর সাইকেল চোরদের উৎপাত ॥

প্রকাশিত: ১২:১২ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মসজিদ রোড থেকে ব্যবসায়ীর মোটর সাইকেল চুরির সন্ধান দাতাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আবারও শুরু হয়েছে মোটর সাইকেল চুরি। পুলিশ-র‌্যাবের সাড়াশি অভিযানে এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল মোটর সাইকেল চুরি। সম্প্রতি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মোটর সাইকেল চোরের সিন্ডিকেট। গত এক সপ্তাহে জেলা শহরের তিনটি এলাকায় তিনটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা জানান দিচ্ছে- মোটর সাইকেল চোরের সি-িকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে আবারও। তাদের তৎপরতায় চুরি হচ্ছে একের পর এক মোটর সাইকেল। জেলা শহরের পুনিয়াউট, মেড্ডা ও সর্বশেষ শহরের মসজিদ রোড, তিনটি চুরির ঘটনায় সক্রিয় মোটর সাইকেলের সি-িকেটের চোরদের আতঙ্কে শহরের মোটরসাইকেল মালিকরাও এখন আতঙ্কিত। মোটর সাইকেল চুরি রোধে মালিকরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও চোরেরা অভিনব পন্থা অবলম্বন করায় অধিকাংশ পদক্ষেপই কোনো কাজে আসছে না। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার শহরের মসজিদ রোডের ভূইয়া ম্যানশনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে জনৈক ব্যবসায়ীর একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। চুরির কর্ম সম্পাদনকালে চোর মাস্ক পড়ে থাকায় সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাকে শনাক্তে দেরী হচ্ছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে মোটর সাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পেতে অর্থ পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগী মোটর সাইকেল মালিক।জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোডস্থ ভূইয়া ম্যানশনের আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নিজের মোটর সাইকেল রাখেন ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুল মালেক। কাজ শেষে রাতের বেলা বাসায় ফেরার জন্য মোটর সাইকেল আনতে গিয়ে দেখেন যথাস্থানে সাইকেলটি নেই। পরে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়- মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে টি শার্ট-প্যান্ট ও মাস্ক পরিহিত ২৫/৩০ বৎসরের একজন যুবক ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে এদিক-সেদিক তাকিয়ে পরিস্থিতি নিজের আয়ত্তে বুঝতে পেরে পকেট থেকে একটি বিশেষ কী (চাবি) দিয়ে মোটর সাইকেল ষ্টার্ট দিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বেরিয়ে যায়। পুরো কর্মটি শেষ করতে ২ মিনিটেরও কম সময় নেয় চোর। ঘটনাস্থলের পাশেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৈনিক প্রজাবন্ধু পত্রিকা ও জুবিলী অফসেট প্রেসের অফিস। সেখানে লোকজন থাকলেও সুচতুর চোরের আচরণে তারা কিছুই বুঝতে পারেননি। ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক জানান- দৈনন্দিন কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার সময় সাইকেল নিতে এসে দেখি এটি নেই, পরে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। চোরকে ধরতে অর্থ পুরষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন- মোটর সাইকেল চোরদের উৎপাতে মোটর সাইকেল মালিকগণ অতীষ্ঠ, যদি কেউ চোর চক্রের সন্ধান দিতে পারেন তাহলে তাকে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। মোটর সাইকেল চোরদের গ্রেফতারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সবার নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।