আঙুল হারানো রিনার পাশে বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসন

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদে অর্থ সহায়তা আনতে গিয়ে আঙুল হারানো রিনা বেগমের (৩৬) পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (০৭ মে) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিনাকে দেখতে যান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাত।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ মে) দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদে অসহায় ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তার ৪৫০ টাকা আনতে যান রিনা। টাকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পর রিনাকে পেছন দিক থেকে একজন ধাক্কা দিলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দরজায় গিয়ে ধাক্কা খান। এ সময় রিনার ডান হাত দরজার ফাঁকে আটকে যায়। তখন দরজায় থাকা চৌকিদার বখতিয়ার দরজা বন্ধ করে দিলে রিনার হাতের একটি আঙুল পুরোপুরি এবং আরেকটি আংশিক কাটা পড়েহাসপাতালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও ইউএনও আহত রিনার শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, বিজয়নগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর জাহান, প্রেস ক্লাব বিজয়নগরের সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল হক, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে রিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে চিকিৎসার জন্য আরও ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া তুলে দেওয়া হয় রিনার হাতে। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখার পর জেলা প্রশাসক মহোদয় ঘটনাটি তদন্তের জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আহত রিনা বেগমের বক্তব্য শুনেছি। প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমি এখন ঘটনাটি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে রওনা হচ্ছি। তদন্তে যদি কারও অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।