আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরীর শোক

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২১

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মত ও পথ’ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে আবদুল মতিন খসরু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার বিচারে তার ভূমিকা জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল মতিন খসরু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

উল্লেখ্য, আজ বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু এমপি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি গতকাল থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ।

গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন আবদুল মতিন খসরু। ১৬ মার্চ সকালে তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়। অবস্থা ভালো না হওয়ায় ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আবদুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর অবস্থা খারাপ হলে সাবেক এই আইনমন্ত্রীকে মঙ্গলবার লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

আবদুল মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি আইনমন্ত্রী ছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

আবদুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই এক বোন৷ আবদুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে এক মেয়ের জনক।

তিনি ১৯৯২ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বছর-দুয়েক আগে দলটির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।