দরপত্রের লটারিতে অনিয়ম করতে গিয়ে ধরা প্রকৌশলী,ঠিকাদারদের বয়কট

প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দরপত্রের লটারি করার সময় উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গুটি বদল করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় এক ঠিকাদার হাতেনাতে উপজেলা প্রকৌশলীর এই অনিয়ম ধরে ফেললে অন্যান্য ঠিকাদারদার বিক্ষোভ করে লটারি বয়কট করে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে

লটারিতে অংশ গ্রহণ করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ঠিকাদারদারা জানান, চলতি বছরের প্রথম দিকে নবীনগর উপজেলা প্রকৌশল থেকে ১৫টি প্যাকেজে সড়ক সংস্কার, ঘাটলা নির্মাণ ও কালভার্ট নির্মাণ সহ বিভিন্ন কাজের দরপত্র আহ্বান করে। এই দরপত্র গত ১ ফেব্রুয়ারী লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাছাই করার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে উপজেলা মিলনায়তনে লটারি শুরু হয়। লটারি প্রথমেই উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুজ্জামান একটি প্যাকেজ চাইলে, ঠিকাদাররা সম্মতি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের উপস্থিততে লটারি শুরু হয়ে কয়েকটি প্যাকেজে ঠিকাদার নির্ধারিত হয়। এর কিছুক্ষণ পর লটারির একটি গুটি ভেতর থেকে না তুলে পকেট থেকে বের করে লুকিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের হাতে দেন। উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম লটারির র‍্যান্ডমাইজড গোলক থেকে না তুলে ওই গুটিটির ঠিকাদারের নাম্বার প্রকাশ করতে গেলে সকল ঠিকাদাররা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা দরপত্রের লটারির স্থান থেকে বেড়িয়ে এসে বয়কট করে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ওই গুটির নম্বরটি বাতিল করে পুনরায় লটারি শুরু করেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জেলা শহর থেকে যাওয়া ঠিকাদাররা আর অংশগ্রহণ করে

ননি লটারিতে।

এই বিষয়ে লটারিতে অংশগ্রহণকারি ঠিকাদার তোফায়েল আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন বাহার সহ আরও কয়েকজন ঠিকাদার জানান, উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যোগসাজশে সকল অপকর্ম করেন, তার প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া গেল। তারা তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে এসব অপকর্ম করেন। এর আগেও তারা এমন ভাবে অন্য ঠিকাদারদের ঠকিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানিয়ে আজকে লটারি বয়কট করেছি।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমি টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।

অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। সেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিল।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি