বাংলা ভাষাবাসি মানুষদের স্বাধীন রাষ্ট্রের ভিত তৈরী করে দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানঃ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।।

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, জননেতা, র. আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জানাব হায়াত উদ-দৌলা খাঁন,
জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয় বলেনঃ
আমার সৌভাগ্য যে খুব কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর মত হিমালয়ের মত বড় মানুষের, আদর,স্নেহ ও মমতা আমি পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার অনেক স্মৃতি যা বলে শেষ করা যাবে না।

১৯৭১ সালে ৭ মার্চের বক্তৃতার পর বিশ্ব বিখ্যাত বুদ্ধি ভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে ”Poet of Politics ” নামে উপাধি দিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু হল রাজনীতির কবি, পৃথিবীতে রাজনীতির কবি খুব কম আছে।
পৃথিবী বিখ্যাত সাংবাদিক ডেবিট ফস্টার ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্ন করেছিলেন’ আপনার শক্তির উৎস কি? মুজিব তখন বললেন ” I Iove my people “
আমি জনগণকে ভালোবাসি, এটাই আমার শক্তি”। মানুষকে ভালবাসা একটা বিশাল ব্যাপার। ফস্টার বঙ্গবন্ধুকে আবার প্রশ্ন করল ” আপনার দুর্বলতা কি? বঙ্গবন্ধু বলল” I love them too much”
মানুষের ভালবাসাই ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচিয়েছিল। জনগণ নিজেদের জীবন বিনিময় স্লোগান দিত”
জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব”।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করায় তাঁর মহাত্ম বাড়েনি, বরং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। যারা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করে না তারা কৃতঘ্ন।

পাকিস্তানের সময় আমাদের মূলত শিক্ষার হার ছিল ৩০% নীচে, বার্ষিক খাদ্য ঘাটতি ছিল ৩৭ লক্ষ মেট্রিক টন, কিন্তু বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্ব- নির্ভর।
পাকিস্তান মানুষকে বর্ণে, ধর্মে শ্রেণি বিভাজন করত। ধর্মের মধ্যে কে সুন্নী, কে কাদিয়ানী তা বিবেচনা করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মানুষকে মানুষ হিসেবে মনে করে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন ” মানুষ নিয়ে আমার যত ভাবনা তা আমার আছে, বাঙালী নিয়ে ভাবনা তা আমার আছে।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়ছিল তার ফর্মালি বলেছেন ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের গভীর রাতে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী সরকারি ভাবে পালের সিন্ধান্ত যখন জাতির পিতার কন্যা নিয়েছিল, তখন সৌভাগ্যক্রমে আমি তাঁর একান্ত সচিব ছিলাম। তখন এই দিবসটিকে জাতীয় শিশু দিবস করার প্রস্তাব করেছিলাম।
কারণ বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন।
তিনি জানাতেন শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি একমাত্র রাষ্ট্র নায়ক যিনি জাতিসংঘের ৭টি ভাষার বাইরে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে translate করা হয়েছিল।
তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন- That was excellent and wonderful speech maid by him. জাতিসংঘে
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ মুক্ত,বিজ্ঞান মনস্ক, চিন্তা ভিত্তিক বিশ্বের কথা বলেছিলেন।