গাড়ি চুরির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত: ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২১

বিজয়নগর নিউজ ডেস্ক : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় পাঠানসহ গাড়িচোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ২টি মাইক্রোবাস, ২টি ব্যক্তিগত গাড়িসহ ৩৮টি গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

হবিগঞ্জ পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গোয়েন্দা শাখার(ডিবি) পুলিশের একটি দল আজ সকালে হবিগঞ্জ শহর এবং মাধবপুর উপজেলায় অভিযান চালায়। প্রথমে পুলিশ ২৫০ শয্যার হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালসংলগ্ন মা ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে এর মালিক এ এইচ রুবেলকে আটক করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১টি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ১৫টি গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা তারেকুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও একটি ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারেকুল ইসলাম পালিয়ে যান। এ সময় তাঁর বাসা থেকে ২৩টি গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়।

আটক হওয়া এ এইচ রুবেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় পাঠান ওরফে উজ্জ্বলকে তাঁর কৃষ্ণনগরের বাসা থেকে আটক করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মাধবপুর উপজেলা সদর থেকে আরও দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করে।

অভিযান পরিচালনাকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁরা গাড়িচোর চক্রের অন্যতম সদস্য। তাঁদের প্রযুক্তির সহায়তায় আটক করা হয়। এ চক্র ৭ মাসে হবিগঞ্জে ১৯টি চোরাই গাড়ি বেচাকেনা করেছে। এসব গাড়ির মধ্যে একজন প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের গাড়িও ছিল। চক্রের সদস্যরা এসব গাড়ি সদর হাসপাতালের ভেতরে রেখে বেচাকেনা করতেন। টাকা লেনদেন হতো রুবেলের ফার্মেসিতে।

ওসি মো. মাসুক আলী জানান, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই গাড়ি কিনে এনে শহরে বিক্রি করে আসছিলেন। এ সংবাদ পেয়ে ঢাকার ডিবি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ শহর ও মাধবপুর উপজেলা সদরে অভিযান চালায়।

মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনু মোহাম্মদ জানান, তিনি শুনেছেন সাধারণ সম্পাদক হৃদয় পাঠান গাড়ি চুরির ঘটনায় আটক হয়েছেন। এ ঘটনা দুঃখজনক।