কি কারনে ভুলে গেছি শহীদ নুর হোসেনকে?

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২০

মৃনাল চৌধুরী লিটন ।। বুকে লেখা ”স্বৈরাচার নিপাত যাক” আর পিঠে লেখা ”গণতন্ত্র মুক্তি পাক”- একজন তরুণ ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচীতে গিয়ে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পুলিশ-বিডিআরের (বিডিআর-এর পরিবর্তিত নাম এখন বিজিবি) গুলিতে নিহত হন।

সেইদিন পুলিশের গুলিতে আরও দুইজন নিহত হয়েছিল। কিন্তু শরীরে গণতন্ত্রের বার্তা লেখা এই যুবক গুলিতে নিহত হওয়ার পর সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন। ওই চত্বরটির নামকরণ করা হয় নূর হোসেন চত্বর।

নূর হোসেনের মৃত্যু নিয়ে পরবর্তীতে অনেক গল্প-কবিতা-গান লেখা হয়েছে।

১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর যখন নূর হোসেন পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহত হন, তখনকার সংবাদপত্রে সেই ঘটনা ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছিল। এরপরের কয়েকদিন জুড়ে ঢাকায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ চলতে থাকে।

সেই সময়ে এরশাদ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ তার ‘চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা:১৯৮৩-১৯৯০’ গ্রন্থে ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর তারিখের আন্দোলন, গুলিতে হতাহতের কথা উল্লেখ করলেও সেখানে নূর হোসেনের প্রসঙ্গে কিছু লেখেননি।

মি. আহমেদ লিখেছেন, ১৯৮৭ সালের অক্টোবর নাগাদ আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে শুরু করে।….এমতাবস্থায় দুই প্রধান রাজনৈতিক জোট একটি যুক্ত ঘোষণার মাধ্যমে ১০ নভেম্বর রাজধানীতে ১০ লাখ লোকের এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ঘটানোর ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচী গ্রহণ করে।….এরশাদ এবং তাঁর সরকার এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হয়। ” অন 990 সালের পর গণতান্ত্রিক সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হলে 24 বছর হলেও নূর হোসেনকে স্মরণ করা হলেও এক সময়ের ব্যবধানে কি অনেকেই ভুলে গেছেন শহীদ নূর হোসেনের নাম নূর হোসেনের যাদের সাথে মিছিলের ছিলেন আজ তারা অনেকেই মন্ত্রী হয়েছেন সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন কিন্তু আজ আমার প্রশ্ন কি কারনে নূর হোসেনকে আমরা ভুলতে বসেছি সেই প্রশ্নের উত্তর উত্তরের অপেক্ষায়