সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্তের মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র শোক

প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২০

মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্তের (সি আর দত্ত) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় সি আর দত্ত বীর উত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন মোকতাদির চৌধুরী। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান। শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সি আর দত্ত ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি আমৃত্যু দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অনন্য অবদান দেশ ও জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। উল্লেখ্য, মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। গত ২০ আগস্ট বাসায় বাথরুমে হঠাৎ পড়ে যান সিআর দত্ত। এতে তার পা ভেঙে যায়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। পরে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে জন্ম নেয়া সি আর দত্তের পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। শিলং-এর ‘লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুল’-এ দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে বাবা চাকরি থেকে অবসর নিয়ে হবিগঞ্জে গিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন৷ হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে কলকাতার আশুতোষ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়ে ছাত্রাবাসে থাকা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে খুলনার দৌলতপুর কলেজের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়ে এই কলেজ থেকেই বিএসসি পাস করেন৷ সি আর দত্ত ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কিছুদিন পর ‘সেকেন্ড লেফটেনেন্ট’ পদে কমিশন পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সঙ্গে যুক্ত। হিন্দু বৈদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি।