মা-বাবার পাশে চিরশায়িত কামরান

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০

বিজয়নগরনিউজ। হাজারো জনতার কান্নাভেজা চোখ আর তপ্ত বেলাকে পেছনে ফেলে মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে গেলেন ‘জনতার কামরান’। এ বিদায় চিরবিদায়। এ বিদায় প্রিয় মানুষটিকে আর স্পর্শ করতে না পারার বিদায়। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার ( ১৫ জুন) সিলেট নগরের মানিকপীর টিলায় দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে তাঁরই শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে কামরানকে। এ সময় উপস্থিত জনতার কান্নায় ভারি হয়ে উঠে মানিকপীর টিলা এলাকার আকাশ-বাতাস। দাফন শেষে হৃদয়ের সাগরতটে আচমকা আছড়ে পড়া এক শোকপাথরকে চেপে ঘরে ফেরেন জানাযা ও দাফনে অংশ নেয়া সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ। দাফন শেষে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে দ্বিতীয় জানাযা শেষে মরদেহে ফুল দিয়ে নেতাকর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ প্রমুখ। সোমবার দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে তাঁর মরদেহ ছড়ারপারের বাসভবনে এসে পৌঁছে। ভোর থেকেই সেখানে নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহের অপেক্ষায় ছিলেন। পরে জোহরের নামাজ শেষে ছড়ারপার জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে জোহরের নামাজ শেষে ছড়ারপার জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যক লোক জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম জানাজার পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহ মানিকপীর কবরস্থানে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এর আগে গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের ফলাফল পজিটিভ আসে। এদিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাঁকে।