করোনাভাইরাস: শিল্প মন্ত্রণালয়ে নাকচ হলো বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২০ বিড়ি সিগারেটসহ সব ধরণের তামাক কোম্পানির পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দেয়া একটি প্রস্তাব বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় নাকচ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ওই প্রস্তাবের ব্যাপারে বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পরে তামাকজাত পণ্যের বিক্রি বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল হালিম বলছেন, ”এটা একটা শিল্প, এখানে প্রচুর লোকজন কাজ করছে। সুতরাং এখান থেকে অন্যদিকে শিফট করতে গেলে, সময় নিয়ে নিয়ে, কৌশল ঠিক করে সেটা করতে হবে। এই শিল্প কোথায় যাবে, লোকগুলো কোথায় যাবে – সেটা একটা সময়ের ব্যাপার।” স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পাল্টা চিঠিতে শিল্প মন্ত্রণালয় লিখেছে, এটা এখন বন্ধ করা এখন সমীচীন হবে না বা যৌক্তিক হবে না। মি. হালিম বলছেন, ”করোনা পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠান চালু রাখার বিধিবিধান মেনে যেভাবে তামাক কোম্পানিগুলো চলছিল, সেভাবেই এখনো চলবে বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এর আগে মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের তামাক পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার এবং তামাক কোম্পানিগুলোকে দেয়া অনুমতিপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী যুগ্ম সচিব মোঃ খায়রুল আলম শেখ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক হিসাবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার কথা বলেছে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলোকে দেয়া উৎপাদন, সরবরাহ, ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। ”জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তামাক কোম্পানিকে প্রদত্ত অনুমতি প্রত্যাহারসহ সকল তামাক কোম্পানির উৎপাদন-সরবরাহ-বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো,” চিঠিতে বলা হয়। এই বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা যোগ দেন। সেখানে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে রাতারাতি এই খাত বন্ধ করে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। এর কারণ হিসাবে শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম বলছেন যে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ”তারা তামাক পাতা ক্রয় করা যাবে না বলে বলছে। কিন্তু তামাক পাতার সঙ্গে অসংখ্য চাষী জড়িত। তাহলে তো ওই চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্বিতীয়ত হলো, আমরা যদি বৈধভাবে উৎপাদন বিপণন বন্ধ করে দেই, তার মানে এই নয় যে ধূমপায়ীরা ধূমপান করবেন না। তখন কালোবাজারি হবে, সরকার রাজস্ব হারাবে।” ”আমরা তামাকের প্রসার বা প্রচারের পক্ষে নই। আস্তে আস্তে এটা কমিয়ে আনতে হবে। এটা একটা শিল্প, এখানে প্রচুর লোকজন কাজ করছে। সুতরাং এখান থেকে অন্যদিকে শিফট করতে গেলে, সময় নিয়ে নিয়ে, কৌশল ঠিক করে সেটা করতে হবে। এই শিল্প কোথায় যাবে, লোকগুলো কোথায় যাবে – সেটা একটা সময়ের ব্যাপার।” Related posts:ব্রাহ্মনবাড়িয়া কসবায় ৫মার্চ ঘটনায় অপরাধের মামলায় প্রকৃত দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করতে ১০৭১জন স্বাক্ষ...ময়মনসিংহ রেঞ্জের সেরা পুলিশ কর্মকর্তারা পুরস্কৃতঅনিয়মের অভিযোগে বীরগাঁও ইউপির কবির চেয়ারম্যান ও তাহের মেম্বার সাময়িকভাবে বরখাস্ত Post Views: ৩৭০ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: