২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি’র

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২০

বিজয়নগরনিউজ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসা প্রবাসীদের তথ্য তালাশ করে কোয়ারান্টাইনে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। শনিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরী এক সভায় এই সময়সীমা বেধে দেন তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের। বাজার নিত্যপন্যের মুল্য বৃদ্ধিতেও ব্যবসায়ীদের কঠোর হুশিয়ারী দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও ওই মিটিংয়ে যোগ দেন বিভিন্ন দফতরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা,বিজিবি ও র‌্যাবের কর্মকর্তাগন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ,উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানার ওসি,ইউপি চেয়ারম্যান,শিক্ষক,ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান,সিভিল সার্জন মো: শাহআলম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান সভাপতিত্ব করেন সভায়। সভার আলোচনায় প্রবাসীদের আগমন এবং বাজার পরিস্থিতি গুরুত্ব পায়। জেলা প্রশাসক মানবজমিনকে জানান-১লা মার্চ থেকে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত ৬৫৫২ জন প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছেন। যাদের স্থায়ী ঠিকানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া উল্লেখ রয়েছে। এই প্রবাসীদের খোজখবর করার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রবাস ফেরতদের ইউনিয়ন ভিত্তিক তালিকা করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে গঠিত সার্চ কমিটি তাদের খুজে বের করবে। তারা কোয়ারান্টাইনে আছে কিনা সেটি দেখবে। তা না হলে জরিমানাসহ যে ব্যবস্থা নেয়ার তা করা হবে। বাজারে জিনিসপত্রের অহেতুক মুল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও প্রশাসন কঠোর হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন- বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি র‌্যাবও কাজ করবে । সভাসুত্র জানায়- এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা বাজার কর্মকর্তা এবং নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কর্মকান্ড নিয়েও সভায় কথা হয়। বাজার কর্মকর্তা এলাকায় না থাকায় এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ফোন করে না পাওয়ায় ভৎসনা করা হয়। প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইন নিয়ে সঠিক তথ্য না দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কথা শুনান জেলা প্রশাসক। তার কাছে জানতে চান তিনি প্রবাসীদের বাড়িবাড়ি গিয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন কিনা। জেলা বাজার কর্মকর্তাকে সপ্তাহে ছুটির দু-দিনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকতে বলা হয়। এসব বিষয় তুলে ধরে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারী কর্মকর্তাদের কোন প্রকার শৈথিল্য বরদাশত করা হবেনা বলে হোশিয়ার করেন জেলা প্রশাসক । বলেন ইচ্ছামতো কাজ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এলেই ঢাকা যাওয়া ত্যাগ করতে হবে। বাজার কর্মকর্তা বাজারে থাকবেননা তা মেনে নেয়া যায়না। আখাউড়া উপজেলার দু-জন ইউপি চেয়ারম্যান এলাকায় থাকেননা বলে সভায় জানানোর পর তিনি জনপ্রতিনিধিদেরকে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করার নির্দেশ দেন। বলেন এব্যাপারে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সকল কাজে সহযেগিতা করতে হবে তাদের । যে সকল জনপ্রতিনিধি এলাকায় অবস্থান করবেন না তাদের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন। এদিকে সিভিল সার্জন মো: শাহআলম জানান- ৩৭৬ জন হোমকোয়ারান্টাইনে রয়েছেন।