কোয়ারেন্টিন না মেনে জনসমাগমে যাওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন কামরান

প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২০

লন্ডন থেকে ফেরার দুদিন পরেই মুজিববর্ষের কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। কোয়ারেন্টিনে না থেকে জনসমাগমে যোগ দেয়ায় কামরানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমতাবস্থায় কোয়ারেন্টিনে না থেকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কামরান। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার বিদেশফেরতদের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটি তিনি জানতেন না। জানলে অবশ্যই মানতেন। এমনকি বিমানবন্দরেও কেউ তাকে বিষয়টি অবহিত করেনি। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, ‘তার পরও বলি– এটি নিয়ে যেহেতু আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, সে কারণে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কোয়ারেন্টিন সময়কালে তিনি আর কোনো সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলেও জানান। কামরান ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমি লন্ডন থেকে দেশে আসি অন্য এক আবেগের টানে। আপনারা জানেন, এ বছরের ১৭ মার্চ একেবারেই ভিন্ন। এ রকম একটি দিন আমার জীবনে আর আসবে না। আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি এই দিনটাকে মিস করতে চাইনি। তাই দেশে চলে আসি। তবে দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে সার্বিক নিয়ম অনুসরণ করেই বাড়ি ফিরেছি। যেমন আমাকে একটা হলুদ স্লিপ দেয়া হলো তথ্য পূরণ করে দেওয়ার জন্য। এরপর আমার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হল। এরপর আমাকে বাসায় যেতে বলা হলো। আমি যথারীতি বাসায় চলে আসি। সাবেক সিসিক মেয়র বলেন, অন্যবার আমি বিদেশ থেকে ফিরলে নেতাকর্মীরা আমাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে যায়। এবার আমি সেটায় তাদের বারণ করেছি। শুধু আমার ছেলে গাড়ি নিয়ে আমাকে আনতে যায়। আমার ছেলেও একজন ডাক্তার, সে নিজেও আমার শারীরিক অবস্থা অবজার্ভ করে। তার স্বাভাবিক দৃষ্টিতে আমি সুস্থ- এটা সে বলে। আল্লাহর রহমতে আমি কিন্তু এখনও সুস্থ আছি। উল্লেখ্য, বদরউদ্দিন আহমদ কামরান লন্ডনে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ১৪ মার্চ দেশে ফেরেন। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর দিনে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কামরান। নিজের ফেসবুক আইডিতে সেই ছবিও পোস্ট করেন তিনি। ১৮ মার্চ বিকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভায়ও তিনি বক্তব্য রাখার ছবি প্রকাশ করেন। দলীয় সূত্র জানায়, ফেসবুকে এসব ছবি প্রকাশ করার পরই তাকে নিয়ে সিলেটসহ পুরো দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।