শেখ হাসিনা সড়কের সেতুর কাজ পরিদর্শন করলেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

জেলা সদরের সাথে বিজয়নগর উপজেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপনা “শেখ হাসিনা সড়ক” (শিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক) এর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা এবং ২৪ফুট প্রস্ত এই সড়কে বর্তমানে তিনটি ব্রীজের নির্মান কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২০) বিকেলে সড়কের পশ্চিম প্রান্ত তিতাস নদীর উপরে নির্মানাধীন ব্রীজের কাজ পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

পরিদর্শনকালে তিনি ব্রীজের নির্মান কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি ব্রীজের নির্মান কাজের ঠিকাদারসহ নির্মান সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজের গুনগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি স¤পন্ন করার তাগিদ দেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টানমনিপাড়া (পত্তন শিবির) এলাকায় সড়কের মাটি ভরাট কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

ইতিমধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা এবং ২৪ফুট প্রস্ত এই সড়কের মাটির কাজ শেষে সলিংয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে তিনি ব্রীজ নির্মানের কাজ। এদিকে “শেখ হাসিনা সড়কের” নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় আশাবাদী হয়ে উঠছেন বিজয়নগরবাসী। রাস্তাটি বিজয়নগরবাসীর শত বছরের স্বপ্ন।

সড়কটি নির্মিত হলে বিজয়নগর উপজেলাবাসী প্রায় আধ ঘন্টার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে পারবে। বর্তমানে বিজয়নগর উপজেলাবাসী প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে আখাউড়া উপজেলার উপর দিয়ে অথবা প্রায় ২৫ কিলোমিটার ঘুরে সরাইল উপজেলার উপর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আসা যাওয়া করতে হয়। সড়কটি নির্মিত হলে বিজয়নগরবাসীর সময় ও অর্থ দুটোরই সাশ্রয় হবে।