অপ্রতিরোধ্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯

তিতাস পারের সেই ছেলেটি কবে বড় হবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। ভাবতেই ভালো লাগে আওয়ামীলীগের জন্য অসাম্পদায়িক দেশ গড়তে তার প্রিয় সংগঠনের জন্য আর কত ত্যাগ স্বীকার করলে, আর কতবার জেলে গেলে র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী কে মন্ত্রী করা হবে ? পরিচ্ছন্ন, ভদ্র ও দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন’ রাজনীতিবিদ হিসেবে আওয়ামীলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল-সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে সুপরিচিত র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এম পি আন্দোলন সংগ্রামেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দোয়া আর অকৃত্রিম ভালবাসা চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান প্রাণ পুরুষ জনাব র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি হিসাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে সত্যিই প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষ কথায় নয় বরং মানুষ বড় তার কাজে। লাগে সকলের আদরের সেই ছোট খোকা বাবুটি আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অভিভাবক, কৃতি সন্তান, সর্বস্তরের মানুষের নয়নের মণি। হ্যাঁ তিনি আর কেউ নন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকলের প্রিয় চেনা মুখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর -৩ ও বিজয়নগর নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিমান ও পর্ষটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাটি ও মানুষের জননেতা উন্নয়নের রূপকার। যার জন্ম স্পর্শে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আজ ধন্য, অভিসিক্ত, গৌরবানিত। রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাই, দুর্নীতি এবং মাদক মুক্ত করতে নিরলস প্রচেষ্টা রেখে চলেছেন। গরীব এতিম ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ, লোকজনদের চিকিতসা ও অসহায় মেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়া, বিশেষ করে নারীদের সাবলম্বি করার জন্য তিনি অত্যন্ত উদার। তিনি অন্যায়কে কখনই প্রশ্রয় দেন না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বে অবিচল আস্থা রেখে এমপি হওয়ার পর থেকেই তিনি তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন আর উন্নয়নই করে চলেছেন। তিনি তার কাজের বিনিময়ে নিজের জন্য কিছুই চান না শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দোয়া আর অকৃত্রিম ভালবাসা চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান প্রাণ পুরুষ জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি হিসাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে সত্যিই প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষ কথায় নয় বরং মানুষ বড় তার কাজে।

ব্রাম্মণবাড়িয়া তথা সারা বাংলাদেশে তিনি রবিউল ভাই নামে পরিচিত।আসলে কে এই রবিউল মুক্তাদির চৌধুরী ? তিনি কোথায় থেকে কেমন করে এলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ? তাহলে ফিরে যেতে হয় সেই ছাত্র রাজনীতির শুরুতে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল বিশেষ ঘনিষ্টচর মোকতাদির চৌধুরী ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখভাগে ছিলেন। ১৯৬৯-৭০ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানিদের সাথে এক সম্মুখযুদ্ধে তিনি আহত হন। এই কারণে তাকে অনেকেই সম্মানের সাথে সম্মোধন করে থাকেন যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযুদ্ধা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে মোকতাদির চৌধুরী ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ বক্তা ও লেখক।এখান থেকেই আমার সাথে রবিউল ভাইয়ের প্রথম পরিচয়।এই সময় আমরা ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ কমিটি ঢাকার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকালে লিফটলেট লেখায় সহযোগিতার করতেন লেখায় তার কলমের দক্ষতা অসীম। কিভাবে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে কি লিখতে হবে তার সবকিছুই ছিল তার নখদর্পনে।সময়ের সাথে সাথে এভাবেই একসময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের নেতা ও কর্মীদের কাছে র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অত্যন্ত প্রিয় বেক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।অন্যদিকে শেখ কামাল কাছেও ছিলেন তিনি অতি প্রিয় মানুষ্l এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মমতাজ হোসেন (সাবেক রাষ্ট্রদূত) ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম (১৯৭২) দুইজনই ছিলেন তার খুব প্রিয় সঙ্গীl পরবর্তীতে সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাই সভাপতি হলে (১৯৭৩-৭৪) আমি ,রউফ ও ইউনুস একই কমিটিতে সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর চারজনের সাথে রবিউল ভাইয়ের সম্পর্কটা আরো গাঢ় হয়। কারণ চারজনই ছিলেন কামাল খুবই কাছের ও প্রিয় ফলে রবিউল এর সাথে যোগাযোগটা ছিল একটু বেশি।আমাদের প্রতি তার সহযোগিতার হাত সবসময় ছিল প্রশস্থ। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করলে ঢাকা মহানগর জাতীয় ছাত্রলীগের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে রউফ ঢাকা মহানগরের সকল কলেজ সংগঠনগুলো তদারকি করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এই আহবায়ক কমিটিতে দুজন ছাড়াও ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আসা খন্দকার শওকত জুলিয়াসও (অবসরপ্রাপ্ত সচিব) সাথে ছিলেন। রউফ ও জুলিয়াস এই তিজন কাকরাইলে অবস্থিত জাতীয় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের কার্যালয়ে রবিউল এর সাথে লিফটলেট লেখা নিয়ে বার বার সহযোগিতা করেছে। এই সময় জাতীয় ছাত্রলীগের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের উপরে নেমে আসে এক বিশাল অন্ধকার। সৈয়দ নুরুল ইসলাম, রউফ শিকদার ও মোহাম্মদ ইউনুস কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করাতে ঢাকা শহর ছাত্রলীগের আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে আমার উপর একটা বিরাট দায়িত্ব এসে পরে।এই দুঃসময়ে যারা জীবনের ঝুঁকি কি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে গোপনীয় আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তারা হলেন ওবায়দুল কাদের, রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ, ম জাহাঙ্গীর, মমতাজ হোসেন, ফরিদপুরের শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, চট্টগ্রামের এস এম ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মুকুল বোস, মানিকগঞ্জের গোলাম মহিউদ্দিন ,তেজগাঁও কলেজের আকবর আলী মর্জি ,তাহের, শওকত,তিতুমীর কলেজের রফিক, আইডিয়াল কলেজের সালাম, বাতেন,জাহাঙ্গীর, জগন্নাথ কলেজের মোহন, কামাল, সরোয়ার্দ্দী কলেজের হেলাল, নান্দু ও কামাল মজুমদার, ঢাকা সিটি কলেজের মামুন, ঢাকা কলেজের দেলওয়ার, সেলিম, লিয়াকত, লালমাটিয়া কলেজের পারভীন ও নাজমা সহ আরো অনেকে যাদের নাম

জেনারেল জিয়ার সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ঐসময় ছাত্রলীগের এই গোপনীয় কর্মতৎপরতা চালানো এতো সহজ ব্যাপার ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রবিউল সহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের নেতৃত্বে ৪ নভেম্বরের পঁচাত্তরের মৌন মিছিল সংগঠিত করা হয়েছিল। তাদের নেতৃত্বেই ঢাকায় শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিরোধ যুদ্ধ। সামরিক শাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা ৪ নভেম্বরের নভেম্বরের মৌন মিছিলকে সফল করে তোলার জন্য ঢাকা শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রচারপত্র বিলি করে।এরআগে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই খন্দকার মোস্তাকের ডাকা সভায় ঢাকায় অবস্থানরত সংসদ সদস্যদের উপস্থিত না থাকার জন্য হুমকি চিঠি বিলি করা হয়l এই কঠিন মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী রবিউল আলম সর্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একসময় মিথ্যা অভিযোগে জেনারেল জিয়ার সামরিক সরকার তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ছাত্রলীগকে সংগঠিত এবং আওয়ামী লীগকে পুরুজ্জীবিত করতে কাজ শুরু করেন মোকতাদির চৌধুরী। তার এসকল আন্দোলন ও কর্মসূচিতে আজকের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সব সময় পাশে ছিলেন। পরবর্তীতে রবিউল ভাই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করলেও গোপনে রাজনৈতিক কার্যকলাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখেনl ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যার পাশাপাশি থেকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তিনি তার এই দায়িত্ব একটানা পাঁচ বৎসর পালন করেন। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে চাকুরী থেকে জোরপূর্বক অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়।