অনিয়মই যেখানে নিয়ম আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯

বিজয়নগর নিউজ।। আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস কার্যালয় হয়ে উঠেছে এখন অনিয়ম কে নিয়মে পরিণত করার অফিস। এই অফিসে নিরাপত্তার প্রহরীর দায়িত্বে থাকা জালাল এখন নিজেই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে। জানা যায় আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী জালাল নিজেই এখন অফিস সহকারী ও উপ-খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন (৯ বছর) সংযুক্তির মাধ্যমে একই স্থানে অবস্থান করার কারণে এই অফিসে অন্য কেউ এসে চাকরি করার মত পরিবেশ করতে পারেনা। বিধি মোতাবেক সকাল ৯-৫ টা পর্যন্ত অফিস করার কথা থাকলেও ইচ্ছেমত অফিসে আসা ও কর্মস্থলে না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে অফিস পরিচালনা করেন তিনি। দীর্ঘদিন একই স্থানে অবস্থানের কারণে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে তার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি মৌখিক ভাবে ছুটি নিয়ে এখন বাড়িতে আছি। বর্তমানে আমি যে কাজ করছি তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও ডিসি ফুডের নির্দেশেই এ দায়িত্বে আছি। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইনুল ইসলাম ভূইয়া নিজেও চাকরীর স্থলে থেকে অফিস পরিচালনা করার কথা থাকলেও তিনি নরসিংদী থেকে এসে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নিয়মিত স্বাক্ষর বইয়ে হাজিরা দিয়ে থাকেন অনুপস্থিত থেকে।একাধিক সূত্রে জানা যায় বিগত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা আব্দুস ছালামের সময় নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব অবহেলার কারণে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যাংক সুদের দায়ভার বহন করতে হচ্ছে অত্র অফিসটির। তবুও নিরাপত্তা প্রহরী জালাল চালিয়ে যাচ্ছে অফিস সহকারী ও উপ-খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে বর্তমান সদর খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাউছার আহমদের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন কর্মাশিয়াল অডিটে এই অনিয়ম ধরা পড়ে, যা এখনও সুরাহা হয়নি। আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইনুল ইসলাম ভূইয়া কর্মস্থলে না থাকা বিষয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। খাদ্য বান্ধব চাউল বিতরণ চাউল সংগ্রহ অভিযানে কমিশন বাণিজ্য, ডিলারদের সাথে আঁতাত সহ বিভিন্ন অনিয়মের অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ধারাবাহিক ভাবে।