ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ কি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভোগ করবে না,প্রশ্ন সাদ অনুসারীদের

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৯

বিজয়নগর নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সব মসজিদে তাবলিগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া ও মার্কাজ মসজিদ হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মেড্ডা এলাকায় জেলা মার্কাজের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারীদের বাধার মধ্যেই আমাদের বিভিন্ন জামাত বিভিন্ন মসজিদে যাচ্ছে। নানা সময়ে তারা বিভিন্ন মসজিদ থেকে আমাদের জামাতকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমরা বারবারই ধৈর্য্য ধরে সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছি।

তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর বিকেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম তার নিজ মহল্লার (পশ্চিম পাইকপাড়া) মসজিদে কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়া করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। দোয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারী ৭০/৮০ জন মাদরাসাছাত্র মসজিদে ঢুকে আক্রমণ করে। এ সময় তারা আবদুর রহিমের গায়ে হাত তুলেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন কোনো শক্ত পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদের (জোবায়ের অনুসারী) সাহস দিন দিন বাড়ার কারণেই এই পরিণতি। ওইদিন রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবেন গেলে তিনি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমাদের বলেন- এটি জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা। আমরা এর কোনো সমাধান দিতে পারব না।

প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি আলাদা কোনো রাষ্ট্র? এখানে কি বাংলাদেশের সংবিধান প্রয়োগযোগ্য নয়? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ কি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভোগ করবে না?

এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল মসজিদে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়াসহ জেলা শহরের বিরাসার এলাকার মার্কাজ মসজিদ তাদের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা আনিসুর রহমান ও আব্দুল আহাদসহ মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারীদের সঙ্গে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনকেও বেগ পোহাতে হয়।