সেই শিশুটির দায়িত্ব নিলেন উপমন্ত্রী শামীম

প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ ভবিষ্যতের সার্বিক বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। বুধবার সকালে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এই কথা জানান উপমন্ত্রী। শিশু মাহিমার বাড়ি শরীয়তপুরের সখিপুরে। উপমন্ত্রী শামীম ওই এলাকার এমপি। গত রবিবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান সখিপুরের বাসিন্দা মাইনুদ্দিনের জীবনের স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর আলম, মামী আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম। সোমবার সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় জীবনের স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান শিশু মাহিমা। দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার কোনো স্বজন পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচয় খুঁজতে মাথায় ব্যান্ডেজ পেঁচানো রক্তাক্ত শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হলে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়। পরে শিশুটির বাবা মাইনুদ্দিন পরিচয় শনাক্ত করেন। এছাড়া স্ত্রী কাকলি আক্তার, মামি আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়মের লাশও শনাক্ত করেন তিনি। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শিশু মাহিমাকে আনা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। মাহিমা ছাড়াও সিএমএইচে কসবা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোট সাতজনের চিকিৎসা চলছে। সকালে আহতদের দেখতে গিয়ে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের মধ্যে সাতজনকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় শিশু মাহিমার দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানান। শামীম বলেন, ‘আহত শিশু মাহিমা তার মা হারিয়েছে, স্বজন হারিয়েছে। সে তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। এজন্য তিনি শিশুটির সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। ভবিষ্যতে শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা দেবেন তিনি।’