আজ যুবলীগের৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৯

বিজয়নগর নিউজ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনিরের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি। নানা আন্দোলন সংগ্রাম এবং চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ যুব সংগঠনের পরিণত হয়েছে। যুবলীগের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আসন্ন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম এবং সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতাত্তোর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন, স্বাধীনতা বিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা এবং সদ্য স্বাধীন দেশের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন ও প্রত্যাশায় ভারাক্রান্ত যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে সোনার মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবলীগ তার লক্ষ্য পূরণে দৃপ্তপায়ে এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধু ও শেখ ফজলুল হক মনি শাহাদাত বরণ করলে থেমে যায় যুবলীগের চলমান কর্মপ্রক্রিয়া। জাতির পিতা হত্যার বদলা নিতে প্রতিরোধ যুদ্ধে সারাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা। প্রতিরোধযুদ্ধে বগুড়ার খসরু ও চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দসহ অনেক যুবলীগ নেতা-কর্মী শহীদ হন, আহত ও কারাবন্দী হন অসংখ্য নেতাকর্মী। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, বদুসহ অনেকে। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম কোন কিছুই এ সংগঠনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে নাই। একটি দিনের জন্যও যুবলীগ রাজপথ ছেড়ে যায় নাই কিংবা বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয় নাই। তাই যুবলীগ আজ দেশের প্রগতিশীল যুবসমাজের একমাত্র আস্থার ঠিকানা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি যুব শক্তিই পারে ক্ষুধা, দারিদ্র ও অশিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, জঙ্গীবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং ক্যাসিনো বিরোধী কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুবলীগ তার রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন করে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতিকে গতিশীল করে ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের যুবসমাজকে দক্ষ, যোগ্য ও আধুনিক যুবশক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয়ে যুবলীগ মেধা-মনন, যুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চায় পথ চলা শুরু করে। যুবলীগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসাতে হলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারাকে আরো গতিশীল করতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশের যুবসমাজকে দক্ষ, যোগ্য, কর্মনিষ্ঠ, আধুনিক ও কার্যকরী যুবশক্তিতে পরিণত করতে যুবলীগ অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা প্রত্যয়দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করছি, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনৈতিক ধারাকে গতিশীল ও অব্যাহত রেখে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এদেশের যুবসমাজকে কার্যকরী যুবশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে যুবলীগ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের যাত্রাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত যুবলীগ। এদিকে যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সোমবার সকাল ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮.৩০টায় ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সকাল ৯.৩০টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সহ ৭৫’এর ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সংগঠনের সকল শাখা সমূহকে নির্দেশনা দিয়েছেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব।