এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করে এই বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনবে — জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব। শিক্ষার জন্য সরকার সর্বোচ্চ অবদান রেখে চলেছেন। একটি জাতি উন্নত হওয়ার পিছনের কারিগর শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। তাই শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাকে আমাদের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষকই পারেন আদর্শ শিক্ষার্থী তৈরি করতে। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সমন্বয়ে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন করা সম্ভব। এজন্য ক্লাসে শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিতির বিকল্প নেই।’ তিনি মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মরনিকা “তিতাস” প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফেরদৌস মিয়ার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে তোমরা শিক্ষিত জনগোষ্ঠীই আগামী দিনের দেশ পরিচালক।’ তিনি বলেন, আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করে এই বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনবে। আর শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল করতে হলে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এ সময় তিনি বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করে এর উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্র। সাংবাদিক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক। এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডাঃ ইয়াকুব, ফরিদ মিয়া, সৈয়দ মিয়া, শামীম, রফিক মিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিগণ গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মরনিকা “তিতাস” এর উন্মোচন করেন।