রাশিয়া ইরানের আন্তঃমহাদেশীয় ও নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলের উত্তর মহাসাগর ও ব্যারেন্ট সাগর থেকে দু’টি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর দেয়া হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার অন্যতম মিত্র ইরানও নতুন ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামির বরাত দিয়ে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, উত্তর মহাসাগর ও ব্যারেন্ট সাগরে সাবমেরিন থেকে সিনেভা ও বুলাভা নামের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। তরল জ্বালানিবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সিনেভা এবং নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বুলাভার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের আরখানজেলস্কের উত্তরের একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রের টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সফলভাবে আঘাত হেনেছে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, আমাদের দেশ সবসময় বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সিস্টেমের পরীক্ষা চালানোর স্থান। এগুলো আমাদের ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধ ক্ষমতার অবিরাম সম্প্রসারণ এবং শুক্রবার ছিল ইরানিদের জন্য একটি সফল দিন।

তবে নতুন ধরনের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ইরানি এই সামরিক কর্মকর্তা। গত বছর পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় বিশ্বশক্তির একটি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের লাগাম টানতে ও সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন ও ইরাকে প্রক্সিযুদ্ধে লিপ্ত তেহরানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তখন থেকেই এই দুই দেশ পাল্টাপাল্টি হামলার হুমকি দিয়ে আসছে।

গত জুনে পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি নজরদারি ড্রোনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভূপাতিত করে ইরান। এর জেরে দুই দেশে মাঝে সংঘাতের উপক্রম তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ড্রোন ভূপাতিতের জেরে ইরানে হামলা চালাতে দেশটির সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ইরান বলছে, ওই ড্রোনটি তেহরানের আকাশসীমায় ঢুকে নজরদারি চালাচ্ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল।